১. র্যাপিড পাস ক্রয় : ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিন্মবর্ণিত শাখা/উপ-শাখা থেকে র্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে :-
১) সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উত্তরা
৭) ইব্রাহিমপুর শাখা, ক্যান্টনমেন্ট
১০) ইন্দিরা রোড শাখা, ফার্মগেট
১৩) সচিবালয় ফাস্ট ট্র্যাক, বাংলাদেশ সচিবালয়
১৪) ফার্মগেট উপ-শাখা, ফার্মগেট
১৫) কাওরান বাজার শাখা, কাওরান বাজার
১৮) সেগুনবাগিচা উপ শাখা, সেগুনবাগিচা
১৯) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা, গুলিস্তান
২০) মতিঝিল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা, গুলিস্তান
২২) নিউ মার্কেট শাখা, নিউ মার্কেট
২৩) সাতমসজিদ রোড শাখা, ধানমন্ডি
২৫) নিউ ইস্কাটন শাখা, ইস্কাটন, মগবাজার
২৭) খিলগাঁও শাখা, তালতলা, খিলগাঁও
২৮) আর.কে.মিশন রোড উপ-শাকা, মতিঝিল
৩২) তেজগাঁও শাখা, নাবিস্কো, তেজগাঁও
*এছাড়াও দিয়াবাড়িওআগারগাও মেট্রো রেল স্টেশন এর DBBL এর বুথ থেকে র্যাপিড পাস ক্রয় করা যাবে।
২। র্যাপিড পাসের প্রাথমিক মূল্য ৪০০/- টাকা যার মধ্যে ২০০/- টাকা প্রাথমিক রিচার্জ এবং বাকী ২০০/- টাকা কার্ডের জমা মূল্য।
৩। একজন কার্ড ব্যবহারকারী একবারে সর্বোচ্চ ১,০০০/- টাকা রিচার্জ করতে পারবেন, তবে কার্ডের ব্যালান্স ১০,০০০/- টাকা এর বেশি হতে পারবে না।
৪। কার্ডে অপার্যপ্ত ব্যালান্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারী প্রতিবার রিচার্জে একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ঐ পরিমাণ টাকা স¦য়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় হয়ে যাবে।
র্যাপিড পাস নিবন্ধন:
১। কার্ড নিবন্ধনের জন্য কার্ড ব্যবহারকারীকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যেখান থেকে কার্ড ক্রয় করা হয়েছে সেখানে পূরণকৃত আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বনিন্ম দুই কার্যদিবস লাগবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে রিফান্ড এবং রি-ইস্যু সংক্রান্ত কোন দাবী গ্রহণ করা হবে না।
২। র্যাপিড পাস কার্ড নিবন্ধন বাঞ্ছনীয় নয় তবে একমাত্র নিবন্ধিত কার্ড ব্যবহারকারীগণ নিন্মলিখিত সুবিধা ভোগ করবেন :
ক) রিফান্ড : যদি কোন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী কার্ড ফেরত দিতে মনঃস্থির করেন, সেক্ষেত্রে অপারেটর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে রিফান্ড ফি বাবদ ২০/- টাকা কেটে নিয়ে একই দিনে কার্ডের মূল্য (জমা ও রিচার্জ) ফেরত দিবেন।
খ) ‘ক্ষতিগ্রস্থ’ কার্ড পুন প্রদান: ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্থ কার্ড অপারেটরকে ফেরত দিয়ে পুনঃ প্রদান ফি বাবদ ২০০/- টাকা প্রদান সাপেক্ষে নতুন কার্ড নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অপারেটর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন প্রদানকৃত কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দিবেন।
গ) হারানো কার্ড পুন প্রদান: ব্যবহারকারী নতুন কার্ডের জন্য ২০০/- টাকা জমা ফি এবং ২০০/- টাকা পুন প্রদান ফি প্রদান করবেন। অপারেটর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন প্রদানকৃত কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দিবেন।
ঘ) হারানো কার্ড ফেরত : ব্যবহারকারী হারানো কার্ড ফেরত পেলে অপারেটরকে জমামূল্য ফেরত প্রদানের জন্য দিবেন। অপারেটর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে কার্ড নিষ্ক্রিয় করে রিফান্ড ফি বাবদ ২০/- টাকা কেটে নিয়ে একই দিনে কার্ডের মূল্য ফেরত দিবেন।
ঙ) ‘খ’ এবং ‘গ’-তে বর্ণিত প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে এক কার্য দিবস প্রয়োজন হবে। ফলে অপারেটর ব্যবহারকারীকে স্মারক নম্বর সম্বলিত একটি ভাউচার প্রদান করবেন এবং পরবর্তী কার্যদিবসে ব্যবহারকারী সেই ভাউচার প্রদর্শন করে নতুন কার্ড গ্রহণ করবেন।
চ) রিচার্জ এবং কার্ডের মেয়াদ : কার্ড এর লাইফ টাইম ( নিবন্ধনকৃত কার্ড ভেঙে/ হারিয়ে গেলে নুতুন কার্ড পাওয়া যাবে। নতুন কার্ডে পূর্বের কার্ডের রিচার্জকৃত টাকা যুক্ত করে দেওয়া হবে।
১. একজন যাত্রী নির্বাচিত ডিবিবিএল শাখা বা টিকিট শপ থেকে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু বা রিচার্জ করতে পারবেন।
- ইস্যু করার জন্য মোট ৪০০ টাকা প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে ২০০ টাকা হল প্রথম রিচার্জের পরিমাণ এবং বাকী ২০০ টাকা হল আমানতের পরিমাণ।
- যখন আপনার কার্ডে রিচার্জের পরিমাণ যথেষ্ঠ হবে না তখন আপনি নির্বাচিত ডিবিবিএল শাখা অথবা টিকেট শপ থেকে রিচার্জ করতে পারবেন।
- আপনি যদি র্যাপিড পাস ব্যবহার না করেন তবে আপনি আপনার কার্ড ফেরত দিতে পারবেন এবং প্রদানকৃত আমানত ফেরত পাবেন।
২. নিবন্ধন
- আপনার সর্বনিম্ন তথ্য(নাম এবং মোবাইল নাম্বার) প্রয়োজন র্যাপিড পাস রক্ষা করার জন্য।
- নিবন্ধন ব্যতীত, আপনি কোন কিছু দাবী করতে পারবেন না যদি আপনি কার্ড হারিয়ে বা ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেন।
- নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কমপক্ষে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। সেই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আগে কিছু দাবি করতে পারবেন না।
3. নেগেটিভ মূল্য
- আপনার ব্যালেন্সের পরিমাণ যথেষ্ঠ না হলে, আপনি একবারের জন্য আপনার আমানতের পরিমাণের বিপরীতে নেগেটিভ মূল্য ফাংশন উপভোগ করতে পারবেন ।
- যখন আপনি আপনার র্যাপিড পাস রিচার্জ করবেন তখন পরিমাণ আদায় করা হবে।
4. ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড
- নির্বাচিত ডিবিবিএল শাখা বা টিকিট শপে ক্ষতিগ্রস্ত কার্ডটি আনুন। অপারেটর গ্রাহককে পূর্বে সংরক্ষিত মানের সাথে একটি নতুন আইসি কার্ড প্রদান করবেন।
৫. হারানো কার্ড
- গ্রাহককে হারানো নিবন্ধিত কার্ডের তথ্য অপারেটরকে দিতে হবে। এরপর অপারেটর গ্রাহককে একটি রশিদ দিবেন যাতে তিনি পরবর্তী কর্ম দিবসে আগের সঞ্চিত মানের সাথে একটি নতুন কার্ড পেতে পারেন।
- নির্বাচিত ডিবিবিএল শাখা বা টিকিট শপে কার্ডটি আনুন এবং অপারেটরকে আপনার নিবন্ধন সনাক্তকরণ প্রদান করুন। এরপর অপারেটর কার্ডের সঞ্চিত মূল্য পরীক্ষা করবে। আমানত এবং সংরক্ষিত অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে।